রাখাল সাজা নেকড়ে
ধরা খাওয়ার ভয়ে এক নেকড়ে কিছুতেই ভেড়ার পালের কাছ ঘেঁষতে পারে না. তখন জামা-কাপড় চাপিয়ে সে এক রাখাল সেজে নিল. এইবার সে সোজা চলে এল ভেড়াগুলোর পাশে. আসল রাখাল তখন ঘুম লাগাচ্ছে আর ভেড়াগুলো নিশ্চিন্তে ঘাস খাচ্ছে. মুস্কিলটা হল ভেড়া পাকড়াতে গেলে অন্ততঃ কোন একটাকে দলছুট করা দরকার! নেকড়ে-রাখাল তাই আসল রাখাল-এর মত হুস-হাস আওয়াজ করে ভেড়াগুলোকে এদিক ওদিক ভাগানোর তাল করল. তাতে লাভ হল এই - গলা দিয়ে নেকড়ের হাউ-হাউ বেরিয়ে এল. ব্যাস, রাখাল গেল জেগে. পিটুনির চোটে নেকড়ে শেষ.
নীতিশিক্ষাঃ ছদ্মবেশ ধরে কাজ করতে গেলে বাড়াবাড়ি হয়ে যাবেই (আর সব পণ্ড হবে)
আমি আরো বলিঃ মুখ খুলতে দিলেই ধরা পরবে কার ছাল গায়ে কে এসেছে.
কুকুর, মোরগ আর শিয়াল-এর গল্প
এক কুকুর আর তার সাথী এক মোরগ. দু'জনে মিলে ঘুরতে বেড়িয়েছিল. ঘুরতে ঘুরতে রাত হয়ে গেল. তখন তারা আশ্রয়ের জন্য ঘন বনের মধ্যে চলে এল. মোরগ চড়ে বসল এক গাছের অনেক উঁচু একটা ডালে আর কুকুর সেই গাছের নীচে তার বিছানা পেতে নিল. ভোর হলে, যেমন সে রোজ করে, মোরগ ডেকে উঠল কোঁকড়-কো করে. সেই আওয়াজ শুনে এক শিয়ালের মনে হল সকালের নাস্তাটা আজ মোরগের মাংসে সেরে ফেললে খাসা হয়. শিয়াল তখন ঐ ডালটার নীচে চলে এল আর নানাভাবে মোরগের মিষ্টি গলার আওয়াজের সুখ্যাতি করে তার সাথে দোস্তি পাতাতে চাইল.
“আপনি রাজী থাকলে,” বলল সে মোরগকে, “আজকের দিনটা আপনার সাথে কাটাতে পারলে আমার খুব ভাল লাগবে.”
মোরগ বলল, “মশায়, এক কাজ করেন, একটু এগিয়ে এই গাছের গোড়ায় চলে যান. আমার মালপত্র যে টানে সে ঐখানে ঘুমিয়ে আছে. তারে ডেকে তোলেন, সে আপনাকে এখানে আসার জন্য দরজা খুলে দিবে.”
শিয়ালকে ঐদিকে আসতে দেখেই কুকুর একেবারে লাফ দিয়ে উঠল আর শিয়ালের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলল.
ছোটদের ঈশপের শিক্ষামূলক গল্প - Aesop Story