নবজাতকের নাম রাখার সময়কালের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তিনটি বর্ণনা রয়েছে. শিশুর জন্মের পরপরই তার নাম রাখা. শিশুর জন্মের তৃতীয় দিন তার নাম রাখা. শিশুর জন্মের সপ্তম দিন তার নাম রাখা. এর থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইসলাম এ বিষয়ে মুসলিমদেরকে অবকাশ দিয়েছে. যে কোনোটির উপর আমল করা যেতে পারে. এমনকি কুরআনে আল্লাহ তা'আলা কোনো কোনো নবীর নাম তাঁদের জন্মের পূর্বে রেখেছেন মর্মে উল্লেখ আছে.
শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম পিতা-মাতার কর্তব্য. মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলিমদের মাঝেও ইসলামী সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন করার আগ্রহ দেখা যায়. এজন্য তাঁরা নবজাতকের নাম নির্বাচনে পরিচিত আলেম-ওলামাদের শরণাপন্ন হন. তবে সত্যি কথা বলতে কী এ বিষয়ে আমাদের পড়াশুনা একেবারে অপ্রতুল. তাই ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ থাকার পরও অজ্ঞতাবশত আমরা এমনসব নাম নির্বাচন করে ফেলি যেগুলো আদৌ ইসলামী নামের আওতাভুক্ত নয়.
আমাদের দেশে শিশুর জন্মের পর নাম রাখা নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা দেখা যায়. দাদা এক নাম রাখলে নানা অন্য একটা নাম পছন্দ করেন. বাবা-মা শিশুকে এক নামে ডাকে. খালারা বা ফুফুরা আবার ভিন্ন নামে ডাকে. এভাবে একটা বিড়ম্বনা প্রায়শঃ দেখা যায়. এ ব্যাপারে শাইখ বাকর আবু যায়দ বলেন, “নাম রাখা নিয়ে পিতা-মাতার মাঝে বিরোধ দেখা দিলে শিশুর পিতাই নাম রাখার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন. “তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাক. এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সঙ্গত “[সূরা আহযাব 33: 5].
শিশুর পিতার অনুমোদন সাপেক্ষে আত্মীয়স্বজন বা অপর কোনো ব্যক্তি শিশুর নাম রাখতে পারেন. তবে যে নামটি শিশুর জন্য পছন্দ করা হয় সে নামে শিশুকে ডাকা উচিত. আর বিরোধ দেখা দিলে পিতাই পাবেন অগ্রাধিকার.
শিশু জন্মগ্রহণ করার পর কখন নামকরণ করা সুন্নাত এ সম্পর্কে আলেমদের কয়েকটি মত আছে. কেউ কেউ বলেছেন শিশুর জন্মের সপ্তম দিনে নামকরণ ও আকীকা করা সুন্নাত.
হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে রাসুলুল্লাহ (সঃ) হযরত হাসান ও হোসাইনের (রাঃ) আকীকা করলেন জন্মের সপ্তম দিনে এবং তাদের দুই জনের নাম রাখলেন. (ইবনে হাব্বান ও আল মুস্তাদরাক)
আর কেউ কেউ মনে করেন শিশুর জন্ম হবার পর পরই তার নামকরণ করা সুন্নাত. তাঁরা হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করেন
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আবি তালহার জন্ম হলে তাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর কাছে গেলাম. তখন তিনি উটকে হাত বুলিয়ে আদর করছিলেন. তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: তোমার কাছে কি খেজুর আছে? আমি বললাম হ্যাঁ. তারপর আমি তাঁকে খেজুর দিলাম. তিনি তা চিবিয়ে নরম করলেন এবং শিশুটির মুখ ফাঁক করে তার মুখের ভিতর ভরে দিলেন, শিশুটি তখন তার মুখ নাড়াতে শুরু করলো. নবী (সঃ) বললেন আনসারদের প্রিয় হচ্ছে খেজুর. পরে তার নাম রাখলেন আব্দুল্লাহ. (বায়হাকী)
এ থেকে বুঝা যায় শিশু জন্মেও পর পরই তার নাম রাখা যায়.
আমাদের এই অ্যাপটিতে পাবেন -
নবজাতকের নাম রাখার ক্ষেত্রে অনুসরণযোগ্য কিছু নীতিমালা
আল্লাহর নামের সাথে আব্দ শব্দ সম্বধিত করে কিছু নির্বাচিত নাম
নবী ও রাসূলগণের নাম
নির্বাচিত কিছু পুরুষ সাহাবীর নাম
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীবর্গ তথা উম্মেহাতুল মুমিনীন এর নাম
মহিলা সাহাবীবর্গের নাম
নামকরণের সময়
ছেলেদের আরবী সুন্দর নাম অর্থসহ
ইসলামে যেসব নাম রাখা হারাম
ছেলে শিশুদের ইসলামিক নাম
আল্লাহর 99 টি নাম ও অর্থ
নবীদের নাম
ভাল ও মন্দ নামের প্রভাব
নামকরণের সময়
নামকরণে কতিপয় লক্ষ্যণীয় দিক
তাহনীক ও আকীকা
অক্ষর দ্বারা ছেলেদের নাম
আপনার নবজাতক মেয়ে শিশুর
সোনামণির নাম
জনপ্রিয় মেয়েদের নামসমুহ
অর্থসহ শিশুদের ইসলামী নাম
জনপ্রিয় ছেলে শিশুর নাম সমূহ অর্থসহ
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.maishalab.sisuder_islamik_nam_o_ortho
আমদের এই অ্যাপটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে phần করুন ও 5 xếp hạng sao দিন!
শিশুদের ইসলামিক নাম
শিশুদের সুন্দর নাম
ইসলামিক নাম
শিশুদের নাম