হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম রমজানুল মোবারকের তিন দশকের তিনটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন।
প্রথম দশক রহমতের। দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের। তৃতীয় দশক নাজাতের।
রমজানের শেষ দশক জাহান্নাম থেকে নাজাতের দশক। জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও পরিত্রাণ লাভের দশক।
তবে এই শেষ দশকের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। বরকতপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এই দশকে বিশেষ একটি রাত রয়েছে। রাতটি অত্যন্ত দামি। অত্যন্ত মূল্যবান। রাতটির ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ জাল্লা শানুহু কুরআনুল কারীমে 'সুরাতুল কদর' নামে একটি সুরাও নাজিল করেছেন। সেই মহামূল্যবান রাতটিও এই শেষ দশকের একটি রাত। এজন্য আকায়ে নামদার হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এই শেষ দশকে নিয়মিত এতেকাফ করতেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম সাধারণত দশ দিন এতেকাফ করতেন। কখনো বিশ দিন করতেন।
ইতিকাফের প্রধান উদ্দেশ্য, শবেকদর তালাশ করা।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর যেসব বান্দাকে পুরো দশক এতেকাফ করার তৌফিক দান করেছেন, তাদের উচিত, দিনরাতের প্রতিটি মুহূর্তের কদর করা। মূূল্যায়ন করা। প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানো। একটা মুহূর্তও যেন বেকার না যায়। হাত ছাড়া হয়ে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
যাদের পুরো দশক এতেকাফ করার সুযোগ হয় না, শুধু বেজোড় রাতগুলোর তালাশ করে, তাদেরও উচিত, প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদতে কাটানো। দোয়া ও তাসবিহ তাহলিলে ব্যয় করা। অলসতা ও অবহেলায় যেন একটা মুহূর্তও ব্যয় না হয়। বরং এই রাতগুলোতে আরও বেশি যত্নবান হওয়া। আরও বেশি আন্তরিক হওয়া। নিরলসভাবে এবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন থাকা। একটা মুহূর্তও যেন বেকার না যায়। প্রতিটি সেকেন্ড যেন কাজে লাগে, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
সাবধান! কখনো এমন ভাববেন না যে, আজ তো প্রথম রাত!
এরপর তো দ্বিতীয় রাত আসবে ...।
তৃতীয় রাত আসবে ...।
চতুর্থ রাত আসবে ..
মনে রাখবেন, যেই মুহূর্তটি আপনার হাত থেকে বের হয়ে গেল, তা আর কোনো দিন ফিরে আসবে না। তা ছাড়া জীবনের গ্যারান্টিই বা কি আছে? পরের রাত তো দূরের কথা পরের মুহূর্তটিই আপনি পাবেন কী না, তা কে বলতে পারবে?
হাজার রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত
শবেকদর লাভের পদ্ধতি ও বিশেষ আমলসমূহ