মানুষের ইতিহাস-সাপিয়েন্স, হিস্টোরী অভ ম্যানকাইন্ড মানব সভ্যতার ইতিহাস নিয়ে ইউভাল নোয়াহ হারিরির এক অনবদ্য রচনা।
মানুষের শুরু হয়েছিল জীবজগতের এক খুবই নগণ্য দুর্বল প্রাণী হিসেবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত সবকিছুকে জয় করে মানুষ ভবিষ্যতে যে ঈশ্বর হতে চলেছে, এই ভ্রমণকে হারারি শুধু অ্যাকাডেমিশিয়ানদের মতো নির্লিপ্ত বর্ণনা করেই ক্ষান্ত, নিয়মিত বিজ্ঞানসম্মত এবং দার্শনিক মূল্যায়ন করে। প্রশ্ন করে গেছেন, যেটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষ একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে ছোট থেকে বড় গোষ্ঠী এবং ধীরে ধীরে একসময় সাম্রাজ্য পর্যন্ত নির্মাণ করেছে। কীভাবে? বিভিন্ন মুখরোচক কিন্তু কার্যকরী গল্পে বিশ্বাস করে! কার্যকরী এই কারণে যে, এমন অভিনব বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা মানুষের আরেকটি প্রজাতি হোমো নিয়ান্ডার্থালনেসিসের ছিল না। আর ছিল না বলেই মানুষের চেয়ে শক্তিশালী এবং বিভিন্ন দিক দিয়ে অধিকতর বুদ্ধিমান হয়েও মানুষের মতো জগতের কর্তৃত্ব হাতে নিতে পারেনি তারা এটি পুরোদস্তুর একটি সামাজিক গুণ।
জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক তিনি। তবে স্যাপিয়েন্স গতানুগতিক ইতিহাসের বই নয়। লেখক ইতিহাসের সাথে বির্বতনের জীববিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান এবং সর্বোপরি দার্শনিকতা মিশিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রমণ করিয়েছেন। মানুষের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিপ্লব এবং আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে মিলিয়ে চারটি মূল অধ্যায়ে বই বিন্যস্ত হয়েছে।
ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোর নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন বিভিন্ন সময়ে সহজে বোঝার জন্য ছক এবং ডায়াগ্রাম আকারেও দেওয়া হয়েছে।
Minor Bug Fixed. AD network reduced.