বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তির এক অভূতপূর্ব নিদর্শন হলো কম্পিউটার (Computer). কম্পিউটার শব্দটির উত্পত্তি হয়েছে ইংরাজি কম্পিউট (Tính) শব্দটি থেকে, যার মানে হল গণনা করা. অর্থাৎ, প্রাথমিক ভাবে আমাদের এ রকম একটা ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে, কম্পিউটার শুধুমাত্র একটি গণক যন্ত্র বা Tính Máy হিসাবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে. কিন্তু বাস্তব চিত্রটা তার থেকে অনেক ব্যাপক. কম্পিউটারের ব্যবহার এখন বহুধা বিস্তৃত. বর্তমানে জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে. জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে শুরু করে ব্যবসা, পরিচালনা বিদ্যা (Quản lý), ইজ্ঞিনিয়ারিং এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও কম্পিউটার হয়ে উঠেছে অবিচ্ছেদ্য অংশ এই প্রয়োজনীয়তা দিনে দিনে ক্রমশ বেড়ে চলেছে. তাই আমাদের প্রত্যেকের কাছে কম্পিউটার সম্পর্কে জানা, কম্পিউটার ব্যবহার করার পদ্ধতি শেখা ছাড়া আর অন্য কোনও বিকল্প থাকছে না. আর বিজ্ঞানের এই শাখা যে হেতু ক্রমবর্ধমান, তাই এই ক্ষেত্রে কাজ করতে পারার মতো যোগ্য ব্যক্তি হয়ে ওঠার জন্যই কম্পিউটার শিক্ষা আমাদের প্রত্যেকের কাছে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে. আগেই বলা হয়েছে যে, কম্পিউটার শব্দটির উত্পত্তি ইংরাজি ভাষার কম্পিউট শব্দটি থেকে. কম্পিউট শব্দটির অর্থ গণনা করা. এখানে অবশ্য গণনা শব্দটির ব্যাপ্তি তুলনামূলক ভাবে বেশি. এর মধ্যে আছে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত, সংখ্যার তুলনা, তথ্যের বিন্যাস বা পরিমার্জন বা পরিবর্ধন, বিনোদন ইত্যাদি. বর্তমান সময়ে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে কম্পিউটার যুক্ত হয়ে পড়েছে, জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে কম্পিউটার হয়ে উঠেছে এক প্রয়োজনীয় উপকরণ. পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে আগামী দিনে কম্পিউটারকে বাদ দিয়ে সভ্যতার গতিকে চলমান রাখা সম্ভব হবে না. কম্পিউটারই তথ্য প্রযুক্তির ধারণার জন্ম দিয়েছে, যার ভিত্তিতে রয়েছে তথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ, তার বিন্যাস ও পর্যালোচনা. সুতরাং, কম্পিউটার বা যন্ত্রগণক হল এমন একটি যন্ত্র, যা প্রচণ্ড দ্রুত গতিতে এবং সঠিক ভাবে গণনা করতে পারে, তথ্যের বিন্যাস ঘটাতে পারে, তথ্যকে পরিমার্জন বা পরিবর্ধন করতে পারে, এমনকী তথ্য আদান-প্রদানও করতে পারে.