হিট স্ট্রোক মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কোন রোগ নয়. প্রচন্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ট ঘামের নিঃসরণ ঘটে. এই ঘাম বাষ্পীভূত হয়ে দেহকে শীতল হতে সাহায্য করে. কিন্তু যখন প্রচন্ড রোদে প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করা হয় কিংবা বায়ুর আদ্রতা অনেক বেড়ে যায়, তখন নিঃসৃত ঘাম বাস্পীভূত হতে পারে না. শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে হিট স্ট্রোক হয়. এ সময় মানবদেহের সাধারণ তাপমাত্রা 98 ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে বেড়ে 105-106 ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্তও হতে পারে. হিট স্ট্রোক হলে রোগীর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা হওয়া জরুরী. তা নাহলে রোগীর কার্ডিয়াক এরেস্ট কিংবা একিউট রেনাল ফেইলিউর সহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে. এমনকি রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে.
গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত. ডাক্তারি ভাষায় এটাকে পেপটিক আলসার ডিজিজ কিংবা গ্যাস্ট্রিক আলসার ডিজিজ বলা হয়. তবে সাধারন মানুষের কাছে এই রোগটি গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা, গ্যাসের ব্যাথা, পেটের আলসার, খাদ্যনালীর ঘা ইত্যাদি নামে পরিচিত. ডাক্তারের কাছে এসে রোগীরা সাধারণত এই নামেই সমস্যা উপস্থাপন করে. অগোছালো জীবন-যাপন, অনিয়মিত খাবার গ্রহণ, খাবার বাছাইয়ে অসতর্কতা ও অজ্ঞতা এ রোগের পিছনে বড় কারন.