ভাপসা গরম. আবার কখনো দিন শেষে আকাশ কালো মেঘে ঢাকা. নামে বৃষ্টি. আবহাওয়ার এই মন-মর্জিতে বড়দের তো বটেই, শিশুদের অবস্থা হয় বেগতিক. সর্দি-কাশি, টনসিল ফুলে যাওয়া আর জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে তারা. একটু সতর্ক ও সচেতন হলে নিজে সুস্থ থাকতে পারেন. আবার শিশুকেও সুস্থ রাখতে পারেন. বারডেম হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান তাহমিনা বেগম দিয়েছেন বেশ কিছু পরামর্শ.
স্কুল বা খেলার মাঠ-যেখান থেকেই শিশু ঘেমে ফিরলে সবার আগে ভালো করে মাথা মুছে দিতে হবে. এরপর সুতির নরম কাপড় ভিজিয়ে পুরো শরীর মুছে দিতে হবে. আবার কোনো শিশু যদি গোসল করতে চায়, তার ঠান্ডার সমস্যা না থাকলে তা-ও করতে পারে. যেসব শিশু একটুতেই ঘেমে যায়, তাদের একটু পর পর ভালোভাবে ঘাম মুছে দিতে হবে. যদি বেশি ঘামে, তাহলে তাকে স্যালাইনের পানি, ডাবের পানি ও তাজা ফলের রস খেতে দিতে হবে.
গরম আবহাওয়া থেকে বাড়িতে এসেই শিশুরা ঠান্ডা পানি খেতে চায়. স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি সব সময় শিশুদের জন্য ভালো. গরমে আরামের জন্য স্বাভাবিক পানির সঙ্গে সামান্য ঠান্ডা পানি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে. তবে টনসিল বা সর্দি-কাশি থাকলে ঠান্ডা পানি পুরোপুরি পরিহার করতে হবে.
নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা