আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ.
মহান আল্লাহ পাকের নিকট নামায সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত. আল্লাহ্ পাকের নিকট নামায অপেক্ষা প্রিয় ইবাদত আর কিছু নাই. আল্লাহ্ পাক মানুষের উপর দিনরাত পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করে দিয়েছেন. যারা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায আদায় করে তারা পরকালে বেহেশতের উত্তম স্থানে অবস্থান করিবে. এবং যাহারা নামায পড়েনা তাহারা জাহান্নামের নিকৃষ্টতম স্থানে অবস্থান করিবে.
হাদীসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ভালভাবে ওযু করে ভয় ও ভক্তি সহকারে রীতিমত নামায আদায় করে কিয়ামতের দিন আললাহ্ পাক তাহার সগীরা গুনাহ্ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন এবং বেহেশতের উত্তম জায়গায় স্থান দিবেন.
আর একটি হাদীসে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, "নামায ইসলামের খুঁটি স্বরূপ". অর্থাৎ ঘর যেমন খুটি ছাড়া তৈরী হয় না বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনা. ঠিক তেমনি ইসলামরূপ ঘর ও নামায নামক খুঁটি ছাড়া টিকতে পারেনা. যে ঠিকমত নামায কায়েম করল সে ইসলামকে জারী রাখতে সাহায্য করল. আর যে নামায কায়েম করল না সে যেন ইসলামকে ধ্বংস করে দিল. \ N
কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাযের হিসাব নেওয়া হবে. নামাযী ব্যক্তির হাত, পা, মুখমন্ডল কেয়ামতের দিন সূর্যের আলোর মত উজ্জল হবে. কিন্তু বেনামাযীর এর উল্টা ফল হবে এবং জাহান্নামী হবে. হাদীসে বর্ণিত আছে, কিয়ামতের ময়দানে নামাযীগণ নবী, শহীদ ও অলীগণেরর সঙ্গে থাকিবে. এবং বেনামাযীরা, ফেরাউন, সাদ্দাদ, হামান, কারূনের এবং আরও বড় বড় কাফেরদের সাথে থাকবে. \ N
প্রত্যেক ব্যক্তির নামায পড়া একান্ত প্রয়োজন. নামায না পড়িলে আখেরাতে এবং দুনিয়ায় প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হইতে হইবে. নামায কাহারও জন্য মাফ নাই. কোন অবস্থায়ই নামায বাদ দেয়া জায়েয নাই, রুগ্ন, খোড়া, বধির, অন্ধ, আতুর, বোবা যে যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায়ই নামায আদায় করতে হবে.
আল্লাহ তায়ালা নামাজকে বান্দার উপর ফরজ করেছেন.আর এ নামাজের জন্য আমাদের উচিত, সঠিকভাবে নামাজ আদায় করা. তাই, নামাজ শিক্ষা ও ছোট সূরা (Namaj Shikkha và Choto sura) অ্যাপটিতে সঠিকভাবে
নামাজ আদায় করতে যা যা প্রয়োজন তা তুলে ধরা হল এবং অনেকে বড় সূরা মুখস্ত করতে পারে না তাদের জন্য রয়েছে ছোট সূরা.
অ্যাপটিতে যা রয়েছে-
1) অজুর গুরুত্ত্বপূর্ণ মাসলা মাসায়েল
২) নামাযের ফজিলত
3) নামাযের ফরজ সমুহ
4) নামাযের ওয়াজিব সমুহ
5) নামাযের সুন্নত সমূহ
6) নামাযের মোস্তাহাব সমূহ
7) নামাযের মাকরূহাত
8) যে সকল কারনে নামায ভঙ্গ হয়
9) নামাযের নিষিদ্ধ সময়
10) নামাজ যেভাবে আদায় করবেন
11) আত্তাহিয়াতু / তাশাহূদ
1২) দুরূদ শরীফ
13) দোয়ায়ে মাসুরা
14) দোয়ায় কুনুত
15) সূরা ফাতিহা
16) আত-তাকাসুর
17) আল-আসর
18) আল-ফিল
19) সূরা কুরাইশ
২0) সূরা মাউন
২1) সূরা আল কাওসার
২২) সূরা কাফিরুন
২3) সূরা নাসর
২4) সূরা আল ইখলাস
২5) সূরা আল ফালাক
২6) আন-নাস
২7) নামায না পড়ার শাস্তি
২8) মুনাজাত
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুক আমীন. ধন্যবাদ.