ধাঁধা শুনতে কে না ভালবাসে? প্রাচীন যুগ থেকেই মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে বিচার করতে ধাঁধার প্রচলন হয়ে এসেছে।ধারণা করা হয়, প্রায় চার হাজার বছর পূর্বে সর্বপ্রথম ধাঁধার প্রচলন হয় তৎকালীন সময়ে চিন্তাভাবনার দৌড় বাড়ানোর পন্থা হিসেবে মানুষ ধাঁধা সমাধান করতো।
ধাঁধাঁ মানেই বুদ্ধির খেলা। সময়ে অসময়ে সুযোগ পেলেই আমরা মেতে উঠি ধাঁধাঁ এর মজা নিয়ে। গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে আজও নানা মজার মজার ধাঁধাঁ প্রচলিত। নানী-দাদী দের মুখে মুখে এক সময় ছিল বাংলার সেরা ধাঁধাগুলো। কালের ধারায় অনেক কিছু প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। এখন কার মডার্ন তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে ধাঁধাঁ নিয়ে খেলার চেয়ে সবাই মোবাইল ফোন ও এন্ড্রয়েড গেমস এ মত্ত হয়ে যাচ্ছে যাচ্ছে ধাঁধাঁ এর সংস্কৃতি আমাদের এই অ্যাপ এ তাই সংযোজন করেছি সেই সব হারিয়ে যাওয়া ধাঁধাঁ গুলো।
আগে গ্রামে-গঞ্জে ধাঁধার আসর বসতো। গ্রামের প্রবীণেরা কিশোর কিশোরীদের নিয়ে ধাঁধার আসর বসাতো, আসরে বিভিন্ন রকমের ধাধা বা বুদ্ধির প্রশ্ন ধরা হতো। যে যত শক্ত ধাঁধার উত্তর দিতে পারতো তার কৃতিত্ব তত বাড়তো। ধাধার আসর কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হতো। প্রবীণেরা বলতেন ধাঁধাঁ সামাধানা করার চর্চা করলে নাকি মেধার বিকাশ ঘটে। মানুষের ক্রম বর্ধমান ব্যাস্ত জীবনে এখন আর বুদ্ধির খেলা বা ধাধার আসর বসানো হয না। তাই গ্রাম বাংলার ধাঁধা গুলো ধিরে ধিরে ধাধার বই হয়ে মানুষের বুক সেল্ফে উঠে গেল। কিন্তু গ্রাম বাংলা মজার ধাধা আধুনিক জীবনে ফিরে এলো আই কিউ টেষ্ট নামে অনেক জায়গায় “কুইজ কুইজ” খেলার ছলে।
যে কোন আড্ডা জমানোর জন্য ধাঁধার কোন বিকল্প নেই। তাই আমারা “বাংলা ধাঁধা (Bangla Puzzle)” নামে মোবাইল এ্যাপ তৈরী করেছি। যে এ্যাপটি মোবাইলে নামিয়ে নিয়ে যে কোন আড্ডায় বুদ্ধির প্রশ্ন করে তাক লাগিয়ে দিতে পারবেন যে কাউকে।
তাই এখনই এ্যাপটি আপানার মোবাইলে ইনস্টল করে নিন এবং বন্ধু ও পরিবারে সাথে শেয়ার করুন। আমাদের এ্যাপটি ভাল লাগলে ৫ স্টার দিয়ে নতুন এ্যাপ তৈরীতে উৎসাহিত করুন।